কেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে ভোট দিবেন

মোস্তফা কামাল সুমন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী পাঁচ বছর দেশ কারা পরিচালনা করবে তা নির্ধারিত হবে এই সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। জাতীয় সংসদের একক সংসদীয় আসন ৩২, গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ। একটি উপজেলা নিয়েই গঠিত এই সংসদীয় আসন। জাতীয় সংসদীয় আসন-৩২ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামীর গোবিন্দগঞ্জ বিনির্মাণে কেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে ভোট দিবেন তা গোবি খবরের পাঠকদের জন্য তুলা ধরা হলো:

অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের একজন জীবন্ত রাজনৈতিক কিংবদন্তী। সাধারণ মানুষের নেতা বলতে যা বোঝায় তিনি তাই। আপদমস্তক রাজনীতিবিদের সমস্ত বৈশিষ্ট্য তাঁর মধ্যে বর্তমান। স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে তিনি জীবনের শুরু থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়েই তাঁর জনপ্রতিনিধিত্বের জীবন শুরু। উপজেলা পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের এমন কোন স্তর নাই যেখানে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন নাই। ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচিত হলে কিভাবে সমৃদ্ধ গোবিন্দগঞ্জ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন তা একজন নাগরিক হিসেবে চুম্বক আকারে তুলে ধরছি। আগেই বলে রাখছি, এই নির্বাচিত অংশের দায় শুধু মাত্র এই লেখকের। এই প্রতিবেদন লেখার আগে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সাথে লেখকের কোন কথা পর্যন্ত হয়নি। লেখক দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণের আলোকে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রকৃত অভিভাবক: অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে গোবিন্দগঞ্জ বাসী একজন প্রকৃত অভিভাবক পাবেন। প্রকৃত অভিভাবক যেমন শাসন ও সোহাগ করেন। ঠিক তেমনি, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ অতীতের ন্যায় একজন প্রকৃত অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে তিনি যেমন সোহাগ করবেন তেমনি অতি প্রয়োজনে শাসন করতেও দ্বিধা করবেন না। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমন একজন প্রকৃত অভিভাবক যে, তাকে প্রাণ খুলে নিজের কথা বলা যায়। সেই অনুযায়ী যথাযথ সহযোগিতা ও প্রতিকার পাওয়া যায়।

মূল্যায়ন : যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়িত হওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। কিন্তু অবমূল্যায়ন কেউ পছন্দ করে না। মূল্যায়নের ঘাটতি ব্যক্তির আমিত্বে আঘাত করে। যে যে রুপ যোগ্য তাকে সেই রুপ মূল্যায়ন করতে হয়। এটাই সাধারণ ও সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু নানা বিবেচনায় অনেক সময় যোগ্যতা থাকা শর্তেও অবমূল্যায়নের স্বীকার হতে বাধ্য হতে হয় এবং আমিত্বে আঘাত নিয়ে চলতে হয়। কিন্তু  অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে আপনি যথাযথ মূল্যায়ন পাবেন। তিনি সর্বদা দল মতের উর্ধ্বে উঠে যোগ্যতা অনুসারে প্রকৃত মূল্যায়ন করেন।

অসাম্প্রদায়িক চেতনা: বিশ্বাস ও ভরসা একটি জটিল বিষয়। সবাইকে বিশ্বাস ও ভরসা করা যায় না। কিন্তু অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন একটি অবস্থান তৈরি করেছেন যে, সবাই তাকে বিশ্বাস ও ভরসা করেন। সব ধর্মের মানুষের আস্থার মানুষ তিনি। উপজেলার লক্ষাধিক সনাতন ধর্মালম্বীর আস্থা ও ভরসার নাম অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এই ভরসা ও বিশ্বাসে গোবিন্দগঞ্জ হবে একটি অসাম্প্রদায়িক জনপদ।

আরইপিজেড বাস্তবায়নের উদ্যোগ: গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহ তৎসংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের চেহারা আমূল বদলে যাবে গোবিন্দগঞ্জে আরইপিজেড গড়ে উঠলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (আরইপিজেড) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞ প্রকৃত আলোর মুখ দেখেনি। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দ্রুত আরইপিজেড বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আর এতেই বদলে যাবে উপজেলার আর্থসামাজিক অবস্থা। প্রায় দুই লাখ লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে এই আরইপিজেডে।

শিক্ষার প্রসার: অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ একজন শিক্ষা অনুরাগী। নিজে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠাতা করে সেই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর সহধর্মিনীও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এবং তাঁর একমাত্র কন্যাও একটি কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা বিস্তারে এবং মান্নোনয়নে তিনি আগের চেয়েও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। তিনি এমপি হলে উপজেলার শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষক ও কর্মচারীর ন্যায়সঙ্গত অধিকার পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত হবে।

ঐতিহ্য সংরক্ষণ: একটি জাতির প্রকৃত পরিচয় ফুটে উঠে তার ঐতিহ্যের মাধ্যমে। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বাঙালি জাতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পৃষ্টপোষক হিসেবে সারাদেশে পরিচিত। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে ষোলআনা বাঙালি আনায় মুখরিত হবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা।

ব্যবসায়ীদের আস্থার প্রতীক: গোবিন্দগঞ্জ একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সারাদেশে পরিচিত। এলাকার ব্যবসার প্রসারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসায়ীদের আস্থার নাম অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের জন্য স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে গোবিন্দগঞ্জে ব্যবসাবান্ধব স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।

সুষম উন্নয়ন: উন্নয়নের সুবিধা পাওয়া মানুষের অন্যতম অধিকার। আর এই অধিকার হতে হবে সুষম। বর্তমান সরকারও উন্নয়ন গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে গোবিন্দগঞ্জে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। কোন এলাকার প্রতি তিনি বৈরী আচরণ করে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করবেন না।

শ্রমজীবি মানুষের বন্ধু: অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ একজন ভালো বন্ধু পাবে। উপজেলার শ্রমিকরা তাদের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই বন্ধুর সহযোগিতায় নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে প্রচেষ্টা চালাবে।

পৃষ্টপোষক: শিল্প সংস্কৃতি ক্রীড়ায় উন্নতি করতে চাই পৃষ্টপোষকতা। যোগ্য পৃষ্টপোষকতা ছাড়া মননশীল কর্ম পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব। একজন প্রকৃত পৃষ্টপোষকে প্রাণ পায় শিল্প সংস্কৃতি ক্রীড়া। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে গোবিন্দগঞ্জের শিল্প সংস্কৃতি ক্রীড়া একজন প্রকৃত পৃষ্ঠপোষক পাবে। সমৃদ্ধি ঘটবে উপজেলার শিল্প সংস্কৃতি ক্রীড়ার।

হোসিয়ারি ও কুঠির শিল্প: সারাদেশ থেকে শীতবস্ত্র কিনতে গোবিন্দগঞ্জে ব্যবসায়ীরা আসে। নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে এই আগমণ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে সমৃদ্ধ হবে উপজেলার হোসিয়ারি ও কুঠির শিল্প। এই শিল্পের জন্য দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে চাই মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণ। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে বর্তমানে থমকে থাকা গোবিন্দগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এর কার্যক্রম সক্রিয় হবে। আর গড়ে উঠবে দক্ষ জনসম্পদ।


কাজ বাগিয়ে আনা: এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ বাগিয়ে নিতে হয়। আমলাতন্ত্রে এলাকার লোক না থাকলে সেই এলাকার উন্নয়ন করা অনেক কঠিন। আমলাতন্ত্রে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার লোকজন কম থাকায় এলাকার উন্নয়ন তৎপরতা কম। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে তিনি কেন্দ্রে তদবির করে এলাকার জন্য কাজ বাগিয়ে নিতে পারবেন।


জাতীয় স্তরের নেতা হওয়ার সম্ভাবনা: আত্ম প্রত্যয়ী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে জাতীয় পর্যায়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

সূর্য বেশি বা কম তাপ যাই দিক, তাতে আমরা রুষ্ট হই। কিন্তু সূর্যের ধর্ম সে কখনো স্থির তাপ দিতে পারে না। হয় কম দেয় না হয় বেশি দেয়। গোবিন্দগঞ্জ বাসীর জন্য একটি রাজনৈতিক সূর্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। ভুলক্রটির উর্ধ্বে মানুষ নয়। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদও একজন মানুষ। তাঁরও ভুলক্রটি আছে। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মত একটি অগ্রসর উপজেলার জন্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর মত রাজনৈতিক সূর্যের বিকল্প বর্তমানে নাই। প্রয়োজন অনুযায়ী সূর্য যেমন কম বেশি তাপ দেয় তেমনি গোবিন্দগঞ্জের রাজনৈতিক সূর্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ শাসন সোহাগের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ গোবিন্দগঞ্জ গড়বেন এই বিশ্বাস নিয়েই বলছি, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে ভোট দেওয়া সর্বাপেক্ষা বাস্তবসম্মত।