আরিফ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা থেকে: গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের কোন পুত্র না থাকায় ভূমিহীন অসহায় ৬ কন্যা রমিছা বেগম, রহিমা বেগম, রাহেলা বেগম, জমিলা বেগম, জরিনা বেগম ও পারভীন বেগমের পৈত্রিক বসতবাড়ির জায়গা ও আবাদি জমি সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে নিয়েছে বর্গাদাররা। ফলে ভূমিহীন ওই পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে এবং গৃহহারা হয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকারের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ওই ৬ নারী জানান, তাদের ছয় বোনের পৈত্রিক প্রায় ১৫ একর জমি থাকার পরও আজ তারা ভূমিহীন অসহায় গৃহহারা। তাদের কোন ভাই না থাকায় এবং দারিদ্রতার কারণে তারা পৈত্রিক জমির শুধু ৩ একর ৩৩ শতক জমির খাজনা খারিজ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। এমতাবস্থায় শালিস বৈঠকে জমি জবর দখলকারি সন্ত্রাসী বর্গাদারদের কাছে ফেরতের দাবি জানালেও তারা তাদের নিজের জমি বলে দাবি করে। ফলে বাধ্য হয়ে ২০০৭ সালে সাদুল্যাপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এতে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত থেকে তাদের পক্ষে মামলাটির রায় পায়। পরে বর্গাদাররা ভূয়া কাগজ সৃজন করে অপর একটি আপিল মামলা দায়ের করে। বর্তমানে ওই মামলাটি চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত জমির মধ্যে থেকে বোনেরা ১৬ শতক জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার পর সন্ত্রাসী বর্গাদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং তাদেরকে নানাভাবে জীবন নাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করে। এদিকে দায়েরকৃত মামলাটির কোন সুরাহা না হওয়ায় ওই অসহায় ৬ নারী এখন বসতবাড়ির জায়গাসহ আবাদি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
প্রসঙ্গত উলেখ্য যে, উক্ত ৩ একর ৩৩ শতক জমি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়ে ইতোপূর্বে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।